সুরমা টাইমস ডেস্ক::
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ ডেইলী জেন্টস পার্লারে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে এস এম পির কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন প্রতিষ্ঠানের মালিক মৃত মো. হাজী জহুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ জামাল আহমদ। মামলা নং- ২০ তারিখ- ১০-০৩-২২ইং। মামলার আসামীরা হলেন- লামাবাজার বিলপারের ৪৫ নং বাসার বর্তমান বাসিন্দা মো. আহাদ আলীর ছেলে মো. দ্বীন ইসলাম মিলন ও মো. আহাদ আলী।
শাল্লা উপজেলার শ্রী বায়ান গ্রামের মৃত আলতাফ মিয়ার ছেলে মো. তালিব, জিন্দাবাজারস্থ মিতালীম্যানশনের ৩য় তলার বাসিন্দা আব্দুল হামিদের ছেলে মঈন উদ্দিন ও সুমন। শেখঘাটের কৃষ্ণ চন্দ্রের ছেলে রুদ্র চন্দ্র অনিক, দাড়িয়াপাড়ার মেঘনা ৫৮/৪ নং বাসার বাসিন্দা জবান উল্লার ছেলে জাহান মিয়া সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন।
এঘটনায় পুলিশ মো. দ্বীন ইসলাম মিলন, মো. তালিব, মঈন উদ্দিন ও রুদ্র চন্দ্র অনিকে গ্রেফতার করেছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ৯ মার্চ রাত ১১ টা ৪০ মিনিটের দিকে তাঁর জিন্দবাজারস্থ ডেইলী জেন্টস পার্লারে সকল আসামীরা অতর্কিত হামলা চালায়। প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হাওয়াপাড়ার মৃত নোয়াব আলীর ছেলে এরশাদ আলীর সাথে প্রধান আসামী লামাবাজারস্থ বিলপাড়ের ৪৫ নং বাসার বাসিন্দা মো. দ্বীন ইসলাম মিলনের মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিলো।
এ ঘটনার জের ধরে ৯ মার্চ রাত ৮ টার দিকে মালিকের অনুপস্থিতিতে ডেইলী জেন্টস পার্লারে কর্মরত এরশাদ আলীর কাছে মিথ্যা টাকা পাওনা আছে বলে দাবি করে মামলার প্রধান আসামী মো. দ্বীন ইসলামের নেতৃত্বে অপর আসামী মো. তালিব সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন সন্ত্রাসী।
তারা এরশাদ আলীকে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এসময় পার্লারের অন্যান্য কর্মচারীরা আসামীদের মিথ্যা টাকা পাওনা দাবি না করার জন্য বলেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উপরোক্ত দুই আসামী ও অন্যান্য সন্ত্রাসীরা তাদের গালিগালাজ করে এবং উচিত শিক্ষা দিবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সাজ্জিত হয়ে সকল আসামী সংঘবদ্ধভাবে পার্লারে ঢুকে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তারা প্রথমেই পার্লারে কর্মরত এরশাদ আলীর উপর স্ট্রীলের পাইপ দিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনি চোখে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হন।
এসময় বাদী মোহাম্মদ জামাল আহমদ সহ দোকানের অপরাপর কর্মচারীরা সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে তাদের উপরও এলোপাতাড়ি হামলা চালায় আসামীরা। হামলায় গুরুতর আহত হন মোহাম্মদ জামাল আহমদ, ওবায়দুল হক, জালাল উদ্দিন, পরিমল ও মোস্তাকিম আলী। সন্ত্রাসী ও আসামীরা প্রতিষ্ঠানের মালিকের পরনের শার্ট ছিড়ে ফেলে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে দেয়। তারা মোহাম্মদ জামাল আহমদের ক্যাশ বাক্স থেকে তার প্রায় ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। তাছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে।
শুধু তাই নয় আসামীর দোকানের ডেকোরেশন, লুকিং গ্লাস, চেয়ার ও ষ্টীমের মেশিন ভাংচুর করে প্রায় ২লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। পরে আশপাশ লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত পার্লালের মালিক মোহাম্মদ জামাল আহমদ, এরশাদ আলী, ওবায়দুল হক, জালাল উদ্দিন, পরিমল চন্দ্র সীল ও মোস্তাকিম আলীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চোখে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত এরশাদ আলী বর্তমানে হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৭নং ওয়ার্ডের ১১নং বেডে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখন পর্যন্ত ৪ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।