হবিগঞ্জ,চুনারুঘাট প্রতিনিধি:: সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাটে ব্যবসায়ী নেতা আবুল হোসেন আকল মিয়া হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রুবেলকে ৩ দিনের রিমাণ্ডে নেয়া হয়েছে। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম তার রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, হত্যাকান্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী জসিম উদ্দিন চৌধুরীর আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে শনিবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানায় ডিবি পুলিশ।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন। উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যাদের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতারেও অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, গত ১লা মার্চ ভোরে চুনারুঘাট শহরের বাল্লা রেলগেইট এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যান বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আকল মিয়া। নামাজ আদায় করে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে রাস্তায় সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা চুনারুঘাটে সদরে হরতাল পালন করে। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে মরিয়া হয়ে উঠে। উক্ত ঘটনায় গত ৩০শে মার্চ জসিম উদ্দিন চৌধুরী শামীমকে ঢাকার তেজকুনিপাড়ার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ৩১ মার্চ তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপরই গত শনিবার সন্ধ্যায় সাইফুল ইসলাম রুবেলকে চুনারুঘাট বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম রুবেল গত পৌর নির্বাচনে চুনারুঘাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহেরের ভাতিজা।