ডেস্ক রিপোর্টঃ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফাটল ও হেলে পরেছে ওসমানীনগর থানার নবনির্মিত সীমানা প্রাচীর। সীমানা প্রাচীরে বাশ দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। যে-কোনো সময় থানার সীমানা প্রাচীর ধসে পড়তে পারে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের কাজ ও গাফিলতির কারণে থানার নবনির্মিত সীমানা প্রাচীরে ফাটল ও হেলে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
নরম কাদা মাটির ওপর থানার সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, প্রাচীরের পশ্চিম দিকের খালে মাটি ভরাট না করা, প্রাচীরের পাশে জলাবদ্ধতা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় প্রাচীরে ফাটল সৃষ্টি হয়ে হেলে পড়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ বিভাগের ১০১টি জরাজীর্ণ থানা টাইপ প্ল্যানে নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সিলেট গণপূর্ত বিভাগ কাজটি বাস্তবায়ন করে। ২০১৪ সালের ৮ মার্চ ৬ কোটি ৯৭ লক্ষ ১৭ হাজার ৭শ’ ৫৩ টাকা দরপত্র মূল্যে থানা ভবন নির্মাণ কাজের ওয়ার্ক ওয়ার্ডায় প্রদান করা হয় ঢালী কন্সট্রাকশন নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।
নির্মাণ কাজের উপ খাতে থানা ভবন (সিভিল), অভ্যন্তরীণ স্যানিটারি, অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতীকরণ, বহিঃ বৈদ্যুতীকরণ (পাম্প মোটর ও সিকিউরিটি লাইট), বহিঃ স্যানিটারি (সরবরাহ লাইটসহ গভীর নলকূপ স্থাপন), সোলার সিস্টেম, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, সীমানা প্রাচীর, সারফেইজ ড্রেন ও ভূমি উন্নয়ন কাজ।
২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল থানা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে থানা ভবনের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ছয়তলা ভিতের চার তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন এ ভবনে প্রথম দুই তলায় অভ্যর্থনা কক্ষ, পুলিশ কর্মকর্তাদের অফিস, মালখানা, অস্ত্রাগার, মামলার আলামত খানা, হাজতখানা, কনফারেন্স রুম ও ডাইনিং রুম রয়েছে। তিন ও চার তলায় মহিলা এবং পুরুষ পুলিশের জন্য ব্যারাক হিসেবে ব্যবহার হবে।
গত ২১ জানুয়ারি সিলেটের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওসমানীনগর থানা ভবনটি উদ্বোধন করেন। চলতি মাসে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নিকট ভবনটি গণপূর্ত বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সমজিয়ে দেয়ার কথা কিন্তু ভবনের নির্মান কাজ শেষ হলেও ত্রুটিপূর্ণ সীমানা প্রাচীর ও আনুষঙ্গিক আরো অনেক কাজ শেষ না হওয়ায় সময়মত ভবন সমজিয়ে না পাবার সংশয় দেখা দিয়েছে। অনেক চেষ্টার পরও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢালী কন্সট্রাকশনের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
ওসমানীনগর থানার ওসি আব্দুল আউয়াল চৌধুরী বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে থানার সীমানা প্রাচীরে ফাটল দেখা দেয়া ও প্রাচীর হেলে পরেছে।
প্রধানমন্ত্রী থানা ভবনের উদ্বোধন করার কয়েক মাস পরও এখন পর্যন্ত ভবনের কাজ শেষ করে সমজিয়ে দিতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
গণপূর্ত বিভাগ সিলেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল বলেন, থানা প্রাচীরের পাশ দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই পানি ও বালির চাপে প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে হেলে পরেছে। প্রাচীরের পাশের খাল ভরাট করে নতুন করে আবার প্রাচীর নির্মাণ করা হবে।
Loading...